বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারাল বাংলাদেশ

বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারাল বাংলাদেশ

ছবি- সংগৃহিত

এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের খেলায় বাহরাইনকে ৭-০ গোলের ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।

রোববার মিয়ানমারের ইয়াংগুনে অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ ৫-০ গোলে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে আর দুটি গোল করে বাংলাদেশ।

২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেকের পর বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এর আগে কখনো বাহরাইনের মুখোমুখি হয়নি। র‌্যাংকিংয়ে বাহরাইন এগিয়ে থাকলেও তার প্রমাণ মেলেনি মাঠের খেলায়। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করে বাংলাদেশ। কিক অফের পর বাম দিক থেকে দূরপাল্লার শট নেন ঋতুপর্ণা; গোলকিপার লাফিয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বল গ্লাভসে জমান। ষষ্ঠ মিনিটে মাঠের বা প্রান্ত দিয়ে ঋতুপর্ণা বল নিয়ে ঢোকার সময় তাকে বাধা দিলে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে টানা দুটি কর্ণার পেলেও গোল হয়নি। শামসুন্নাহারের একটি হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে গোল পেতে বেশি অপেক্ষাও করতে হয়নি পিটার বাটলারের দলকে।

১০ মিনিটে শামসুন্নাহারই প্রথম গোলটি করেন। মনিকা চাকমা মাঝ মাঠ থেকে লম্বা করে বল বাড়ান। সেটি পেয়ে প্রচণ্ড গতিতে এক ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে দুর্দান্ত শটে বল জালে পাঠান শামসুন্নাহার। ১৩ মিনিটে বাহরাইনের ইমান আল খাতা লং শটে চমকে দিতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের গোলকিপার রূপনা চাকমাকে। তবে বল চলে যায় মাঠের বাইরে। ১৫ মিনিটে স্বপ্না রানির আড়াআড়ি ক্রস ধরে বক্সে ঢুকে বা পায়ের দৃষ্টিনন্দন বাঁকানো শটে গোল করেন ঋতুপর্ণা।

মিনিটে মনিকা চাকমা গোলকিপারকে একা পেয়েছিলেন, চিপ করে বাহরাইন গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে মারতে চান। তবে বল পোস্টের উপর দিয়ে যায়। ৩২ মিনিটে আফিদা খন্দকারের ক্রস থেকে তহুরা হেডে বল জালে পাঠিয়েছিলেন তবে অফসাইডে গোল মেলেনি। ৩৯ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে গোলে শট নিয়েছিলেন মারিয়া মান্ডা। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৪০ মিনিটে তৃতীয় গোল পায় বাংলাদেশ। মনিকার কর্নারের পর মারিয়া মান্ডা আড়াআড়াই ক্রস থেকে জটলার মধ্যে বল পেয়ে গোল করেন মিডফিল্ডার কোহাটি কিসকু। ৪৪ মিনিটে ফ্রি কিক পায় বাহরাইন। তবে বল সহজেই তালুবন্দি করেন বাংলাদেশ গোলকিপার। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দুটি গোল করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন ১০ নম্বর জার্সিধারী ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন। বাহরাইনের এক খেলোয়াড়ের ভুলে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে জালে পাঠান তিনি। চতুর্থ মিনিটে শামসুন্নাহারের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধে আগের চেয়ে গোছানো ফুটবল খেলে বাহরাইন। শুরুতে গোলকিপারকে একা পেলেও গোল করতে পারেননি শামসুন্নাহার। ৫৪ মিনিটে শামসুন্নাহারের আরেকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন বাহরাইন গোলকিপার। ৬০ মিনিটে বাহরাইনের এক আক্রমণ রুখে দেন রূপনা। ৫৯ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। চার মিনিট পর শামসুন্নাহারের হেড তালুবন্দি করে ব্যবধান বাড়তে দেননি বাহরাইন গোলকিপার। ৬৬ মিনিটে ঋতুপর্ণার শট বাম পাশের জাল কাঁপায়। এরপর একসঙ্গে তিনটি বদলি করেন বাংলাদেশ কোচ।

৬৭ মিনিটে বাহরাইনের এক খেলোয়াড়ের শট ঝাপিয়ে ঠেকান রূপনা। ৭৪ মিনিটে ব্যবধান ৭-০ করেন বদলি নামা মিডফিল্ডার মুনকি আক্তার। ৮০ মিনিটে ঋতুপর্ণাকে তুলে নেন বাংলাদেশ কোচ। ৮৪ মিনিটে মাঠের ডান প্রান্ত দিয়ে বাহরাইনের হিসা আলিসার গোলের চেষ্টা রুখে দেন রূপনা। ৮৫ মিনিটে বক্সে তহুরার পাস থেকে বল জালে ঢুকিয়েছিলেন সাগরিকা। কিন্তু সাগরিকা নিজেই অফসাইডে ছিলেন বলে গোল হয়নি। এরপরই সুলতানার শট বারে লেগে প্রতিহত হয়। নাহলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। ম্যাচের শেষদিকে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার শামসুন্নাহার সিনিয়র হলুর্দ কার্ড দেখেন।

পোষ্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2023 tulshigonga24.com privacy-policy Contact Us About Us
Design BY NewsTheme